তাওহীদ পাবলিকেশন

বুখারী শরীফ

হাদিস সমূহ
বর্ণনাকারী: সবগুলো
হাদিস সংখ্যা: ৩৩৪৬
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: মুসলিমের সর্বোৎকৃষ্ট মাল হল ছাগের পাল যেগুলোকে নিয়ে তারা পাহাড়ের উপর চলে যায়। | বর্ণনাকারী: ইবন আবূ মুলায়কা (রহঃ)
হাদিস নং (৩৩১১): অতঃপর আবূ লুবাবার সঙ্গে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠের উপর দু’টি রেখাওয়ালা এবং লেজকাটা সাপ ছাড়া অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরো না। কেননা ওগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: মুসলিমের সর্বোৎকৃষ্ট মাল হল ছাগের পাল যেগুলোকে নিয়ে তারা পাহাড়ের উপর চলে যায়। | বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১২): ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি সাপ হত্যা করতেন।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: মুসলিমের সর্বোৎকৃষ্ট মাল হল ছাগের পাল যেগুলোকে নিয়ে তারা পাহাড়ের উপর চলে যায়। | বর্ণনাকারী: ?
হাদিস নং (৩৩১৩): অতঃপর আবূ লুবাবাহ (রাঃ) তাঁকে একটি হাদীস শুনালেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী সাপ হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে দেন।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী। | বর্ণনাকারী: আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১৪): আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী অধিক ক্ষতিকারক। এদেরকে হারামেও (সীমানার মধ্যে) হত্যা করা যায়। এগুলো হল বিচ্ছু, ইঁদুর, চিল, কাক ও পাগলা কুকুর।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী। | বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১৫): ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ প্রকারের ক্ষতিকারক প্রাণী যাদেরকে কেউ ইহরাম অবস্থায়ও যদি মেরে ফেলে, তাহলে তার কোন গুনাহ নেই। এগুলো হল বিচ্ছু, ইঁদুর, পাগলা কুকুর, কাক এবং চিল।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী। | বর্ণনাকারী: জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১৬): জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান করার পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে রেখো। কারণ এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্জ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’ ইবনু জুরাইজ এবং হাবীব (রহ.) ‘আত্বা (রহ.) হতে ‘‘কেননা এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে’’ এর স্থলে ‘‘শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে’’ বর্ণনা করেছেন।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী। | বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১৭): ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক গুহায় ছিলাম। তখন ওয়াল ‘‘মুরসালাতি গারকা’’ সূরাটি অবতীর্ণ হয়। আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখ হতে সূরাটি শিখে নিচ্ছিলাম। এমন সময় একটা সাপ বেরিয়ে এল তার গর্ত হতে। আমরা তাকে মারার জন্য দৌঁড়ে যাই। কিন্তু সে আমাদের আগেই গিয়ে গর্তে ঢুকে পড়ে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তোমাদের অনিষ্ট হতে যেমন রক্ষা পেয়েছে, তোমরাও তেমন তার অনিষ্ট হতে বেঁচে গেছ। ইসরাঈল (রহ.) আ‘মাশ, ইব্রাহীম, ‘আলকামাহ (রহ.)-ও ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। রাবী ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমরা সূরাটি তাঁর মুখ হতে বের হবার সঙ্গে সঙ্গে শিখে নিচ্ছিলাম। আবূ আওয়ানাহ মুগীরাহ (রাঃ) হতে এভাবেই বর্ণনা করেছেন। আর হাফস, আবূ মু‘আবিয়াহ ও সুলাইমান ইবনু কারম, আ‘মাশ, ইব্রাহীম, আসওয়াদ (রহ.)-ও ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী। | বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১৮): ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী। | বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩১৯): আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নবীগণের মধ্যে কোন এক নবী একটি গাছের নীচে অবতরণ করেন। অতঃপর তাঁকে একটি পিঁপড়ায় কামড় দেয়। তিনি তাঁর আসবাবপত্রের ব্যাপারে আদেশ দেন। এগুলো গাছের নীচ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। অতঃপর তিনি নির্দেশ দিলে পিঁপড়ার বাসা আগুন দিতে জ্বালিয়ে দেয়া হল। তখন আল্লাহ তাঁর প্রতি ওয়াহী নাযিল করলেন, ‘তুমি একটি মাত্র পিঁপড়াকে শাস্তি দিলে না কেন?’
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে। কারণ তার এক ডানায় থাকে রোগ, অন্যটিতে থাকে আরোগ্যের উপায়। | বর্ণনাকারী: উবাইদ ইবনু হুনায়ন (রহঃ)
হাদিস নং (৩৩২০): ‘উবাইদ ইবনু হুনায়ন হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে সেটাকে তাতে ডুবিয়ে দেবে। অতঃপর তাকে উঠিয়ে ফেলবে। কেননা তার এক ডানায় রোগ থাকে আর অপর ডানায় থাকে রোগের প্রতিষেধক।’