অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা |
বর্ণনাকারী: আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯১):
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতের ভিতর মানুষের এদিক-ওদিক তাকানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তা হল শয়তানের এক ধরনের ছিনতাই, যা সে তোমাদের এক জনের সালাত হতে ছিনিয়ে নেয়।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা |
বর্ণনাকারী: আবূ ক্বাতাদাহ সালামী (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯২):
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ ও ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের তরফ হতে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কেউ যখন ভয়ানক মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে থুথু ফেলে আর শয়তানের ক্ষতি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। তা হলে এমন স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯৩):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক একশ’বার এ দু’আটি পড়বেঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহুদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া হুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। তাহলে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ থাকবে। কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু’আটির ’আমল বেশি পরিমাণ করবে।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা |
বর্ণনাকারী: সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯৪):
সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা ‘উমার (রাঃ) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তাঁর সঙ্গে কয়েকজন কুরায়শ নারী কথাবার্তা বলছিল। তারা খুব উচ্চস্বরে কথা বলছিল। অতঃপর যখন ‘উমার (রাঃ) অনুমতি চাইলেন, তারা উঠে শীঘ্র পর্দার আড়ালে চলে গেলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি প্রদান করলেন। তখন তিনি মুচকি হাসছিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ আপনাকে সর্বদা সহাস্য রাখুন।’ তিনি বললেন, আমার নিকট যে সব মহিলা ছিল তাদের ব্যাপারে আমি আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। তারা যখনই তোমার আওয়াজ শুনল তখনই দ্রুত পর্দার আড়ালে চলে গেল। ‘উমার (রাঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকেই তাদের বেশি ভয় করা উচিত ছিল।’ অতঃপর তিনি মহিলাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, হে আত্মশত্রু মহিলাগণ! তোমরা আমাকে ভয় করছ অথচ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভয় করছ না? তারা জবাব দিল, হ্যাঁ, কারণ তুমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে অধিক কর্কশ ভাষী ও কঠোর হৃদয়ের লোক। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘শপথ ঐ সত্তার যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তুমি যে পথে চল শয়তান কখনও সে পথে চলে না বরং সে তোমার পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯৫):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুম হতে উঠল এবং উযূ করল তখন তার উচিত নাক তিনবার ঝেড়ে ফেলা। কারণ, শয়তান তার নাকের ছিদ্রে রাত কাটিয়েছে।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জ্বিন, তাদের পুরস্কার এবং শাস্তির বিবরণ |
বর্ণনাকারী: আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯৬):
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহ.)-কে বলেছেন, ‘আমি তোমাকে দেখছি তুমি বকরির পাল ও মরুভূমি পছন্দ করছ। অতএব, তুমি যখন তোমার বকরির পাল নিয়ে মরুভূমিতে অবস্থান করবে, সালাতের সময় হলে আযান দিবে, আযানে তোমার স্বর উচ্চ করবে। কেননা মুআয্যিনের কন্ঠস্বর জ্বিন, মানুষ ও যে কোন বস্তু শুনে, তারা কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।’ আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, আমি এ হাদীসটি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে শুনেছি।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ যমীনে সকল প্রকার প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন।’’ |
বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯৭):
ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারের উপর ভাষণ দানের সময় বলতে শুনেছেন, ’সাপ মেরে ফেল। বিশেষ করে মেরে ফেল ঐ সাপ, যার মাথার উপর দু’টো সাদা রেখা আছে এবং লেজ কাটা সাপ। কারণ এ দু’ প্রকারের সাপ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ যমীনে সকল প্রকার প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। |
বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৯৮):
আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, একদা আমি একটি সাপ মারার জন্য তার পিছু ধাওয়া করছিলাম। এমন সময় আবূ লুবাবা (রাঃ) আমাকে ডেকে বললেন, সাপটি মেরো না। তখন আমি বললাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাপ মারার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তিনি বললেন, এরপরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সাপ ঘরে বাস করে যাকে ‘আওয়ামির’ বলা হয় এমন সাপ মারতে নিষেধ করেছেন।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ যমীনে সকল প্রকার প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। |
বর্ণনাকারী: আবদুর রাযযাক (রহঃ)
হাদিস নং (৩২৯৯):
আবদুর রাযযাক (রহ.) মা‘মার (রহ.) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমাকে দেখেছেন আবূ লুবাবা অথবা যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আর অনুসরণ করেছেন মা‘মার (রহ.)-কে ইউনুস ইবনু ইয়াইনা, ইসহাক কলবী ও যুবাইদী (রহ.) এবং সালিহ, ইবনু আবূ হাফসাহ ও ইবনু মুজাম্মি‘ (রহ.).....ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, ‘আমাকে দেখেছেন আবূ লুবাবা ও যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ)।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: মুসলিমের সর্বোৎকৃষ্ট মাল হল ছাগের পাল যেগুলোকে নিয়ে তারা পাহাড়ের উপর চলে যায় |
বর্ণনাকারী: আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
হাদিস নং (৩৩০০):
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে সময় অতি নিকটে যখন একজন মুসলিমের সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হবে ছাগ-পাল। তা নিয়ে সে পাহাড়ের চূড়ায় এবং বৃষ্টির এলাকায় চলে যাবে; সে ফিতনা হতে নিজের দ্বীনকে রক্ষার জন্য পলায়ন করবে।
|