অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: আবূ জামরা (রহঃ)
হাদিস নং (৩২৬১):
আবূ জামরাহ যুবা‘য়ী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কা্য় ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট বসতাম। একবার আমি জ্বরাক্রান্ত হই। তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি তোমার গায়ের জ্বর যমযমের পানি দিয়ে ঠান্ডা কর।’ কারণ, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা জাহান্নামের উত্তাপ হতেই হয়ে থাকে। কাজেই তোমরা তা পানি দিয়ে ঠান্ডা কর অথবা বলেছেন, যমযমের পানি দিয়ে ঠান্ডা কর। এ বিষয়ে বর্ণনাকারী হাম্মাম সন্দেহ পোষণ করেছেন।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬২):
রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ‘জ্বরের উৎপত্তি হয় জাহান্নামের ভীষণ উত্তাপ হতে। অতএব তোমাদের গায়ের সে তাপ পানি দ্বারা ঠান্ডা কর।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬৩):
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জ্বর হয় জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। কাজেই তোমরা তা পানি দিয়ে ঠান্ডা কর।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬৪):
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জ্বর হয় জাহান্নামের উত্তাপ থেকে, কাজেই তোমরা পানি দিয়ে তা ঠান্ডা কর।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬৫):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র। বলা হল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! জাহান্নামীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ট ছিল।’ তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো ঊনসত্তর গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সম পরিমাণ উত্তাপ রয়েছে।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: ই‘য়ালা ইবনু উমায়্যা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬৬):
ইয়া‘লা (রহ.) এর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন, ‘‘আর তারা ডাকবে, হে মালিক।’’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। |
বর্ণনাকারী: আবূ ওয়াইল (রহঃ)
হাদিস নং (৩২৬৭):
আবূ ওয়াইল (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসামাহ (রাঃ)-কে বলা হল, কত ভাল হত! যদি আপনি ঐ ব্যক্তির (উসমান (রাঃ)-এর নিকট যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতেন। উত্তরে তিনি বললেন, আপনারা মনে করছেন যে আমি তাঁর সঙ্গে আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব। অথচ আমি তাঁর সঙ্গে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি একটি দ্বার খুলে না বসি। আমি দ্বার উন্মুক্তকারীর প্রথম ব্যক্তি হতে চাই না। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যক্তিকে যিনি আমাদের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন এ কারণে তিনি আমাদের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি এ কথা বলতে পারি না। লোকেরা তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কী বলতে শুনেছেন? উসামাহ (রাঃ) বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎ কাজে আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম। এ হাদীসটি গুনদার (রহ.) শুবা (রহ.) সূত্রে আ‘মাশ (রহ.) হতে বর্ণনা করেছেন।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা। |
বর্ণনাকারী: আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬৮):
’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যাদু করা হয়েছিল। লায়স (রহ.) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে হাদীস শুনেছেন এবং তা ভালভাবে মুখস্থ করেছেন। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যাদু করা হয়। এমনকি যাদুর প্রভাবে তাঁর খেয়াল হতো যে, তিনি স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেননি। শেষ পর্যন্ত একদা তিনি রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু’আ করলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জানো আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার নিকট বসল আর অপরজন আমার পায়ের নিকট বসল। অতঃপর একজন অন্যজনকে জিজ্ঞেস করল, এ ব্যক্তির রোগটা কী? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে। প্রথম লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ ইবনু আ’সাম। প্রথম ব্যক্তি বলল, কিসের দ্বারা? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, অতঃপর তিনি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললেন, কূপের কাছের খেজুর গাছগুলো যেন এক একটা শয়তানের মাথা। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার আশংকা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। অতঃপর সেই কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা। |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬৯):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন নিদ্রা যায় তখন শয়তান তার মাথার শেষভাগে তিনটি করে গিরা দিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিরার সময় এ কথা বলে কুমন্ত্রণা দেয় যে, এখনো রাত অনেক রয়ে গেছে, কাজেই শুয়ে থাক। অতঃপর সে লোক যদি জেগে উঠে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। অতঃপর যদি সে উযূ করে, তবে দ্বিতীয় গিরাও খুলে যায়। আর যদি সে সালাত আদায় করে তবে সব কয়টি গিরাই খুলে যায়। আর খুশীর সঙ্গে পবিত্র মনে তার সকাল হয়, অন্যথায় অপবিত্র মনে আলস্যের সাথে তার সকাল হয়।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা |
বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৭০):
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এমন এক লোকের ব্যাপারে উল্লেখ করা হল, যে সারা রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল। তখন তিনি বললেন, সে এমন লোক যার উভয় কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে।
|