তাওহীদ পাবলিকেশন

বুখারী শরীফ

হাদিস সমূহ
বর্ণনাকারী: সবগুলো
হাদিস সংখ্যা: ৩৩৫৫
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। | বর্ণনাকারী: আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫১): আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি গাছ আছে, যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর পর্যন্ত চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। | বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫২): আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর পর্যন্ত চলতে পারবে। আর তোমরা ইচ্ছা করলে তিলাওয়াত করতে পার وَظِلٍّ مَمْدُوْدٍ এবং দীর্ঘ ছায়া।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। | বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৩): আর জান্নাতে তোমাদের কারও একটি ধনুকের পরিমাণ জায়গাও ঐ জায়গা অপেক্ষা অধিক উত্তম যেখানে সূর্য উদিত হয় আর সূর্য অস্তমিত হয় (অর্থাৎ পৃথিবীর চেয়ে)।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। | বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৪): আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল হবে আর তাদের অনুগামী দলের চেহারা আকাশের উজ্জ্বল তারকার চেয়েও অধিক সুন্দর ও উজ্জ্বল হবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মত হবে। তাদের মধ্যে কোন বিদ্বেষ থাকবে না, কোন হিংসা থাকবে না, তাদের প্রত্যেকের জন্য ডাগর ডাগর চোখওয়ালা দু’জন করে এমন স্ত্রী থাকবে, যাদের পদ তলের অস্থি মজ্জা ও গোশ্ত ভেদ করে দেখা যাবে।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। | বর্ণনাকারী: বারা'আ ইবনু আযিব (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৫): বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এর ছেলে) ইব্রাহীম (রাঃ) ইন্তিকাল করেন, তখন তিনি বলেন, জান্নাতে এর এক ধাত্রী আছে।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। | বর্ণনাকারী: আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৬): আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীরা তাদের উপরের বালাখানার বাসিন্দাদের এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশের পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে উজ্জ্বল দীপ্তিমান নক্ষত্র দেখতে পাও। এটা হবে তাদের মধ্যে মর্যাদার পার্থক্যের কারণে। সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এ তো নবীগণের জায়গা। তাদের ব্যতীত অন্যরা সেখানে পৌঁছতে পারবে না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যেসব লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং রাসূলগণকে সত্য বলে স্বীকার করবে।
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জান্নাতের দরজাসমূহের বর্ণনা। | বর্ণনাকারী: সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৭): সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে আটটি দরজা। তার মধ্যে একটি দরজার নাম হবে রাইয়্যান। সাওম পালনকারী ছাড়া অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।’
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। | বর্ণনাকারী: আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৮): আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এক সফরে ছিলেন, তখন তিনি বললেন, ’ঠান্ডা হতে দাও।’ আবার বললেন, ’টিলাগুলোর ছায়া নীচে নেমে আসা পর্যন্ত ঠান্ডা হতে দাও।’ আবার বললেন, ’সালাত ঠান্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়।’
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। | বর্ণনাকারী: আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫৯): আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, সালাত ঠান্ডা হলে, পরে আদায় করবে। কেননা গরমের ভীষণতা জাহান্নামের উত্তাপ হতে হয়।’
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা | উপ-অধ্যায়: জাহান্নামের বিবরণ আর তা হচ্ছে সৃষ্ট বস্তু। | বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৬০): আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের নিকট অভিযোগ করে বলেছে, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন তিনি তাকে দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে আর একটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাক।’