অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪১):
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি জান্নাতের অধিবাসী সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি। আমি জানতে পারলাম, জান্নাতে অধিকাংশ অধিবাসী হবে দরিদ্র লোক। জাহান্নামীদের সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি, আমি জানতে পারলাম, এর বেশির ভাগ অধিবাসী নারী।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪২):
আবূ হুরাইরাহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম। দেখলাম আমি জান্নাতে অবস্থিত। হঠাৎ দেখলাম এক নারী একটি দালানের পাশে উযু করছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ দালানটি কার? তারা উত্তরে বললেন, ‘উমারের। তখন তাঁর আত্মমর্যাদার কথা আমার স্মরণ হল। আমি পেছনের দিকে ফিরে চলে আসলাম।’ একথা শুনে ‘উমার (রাঃ) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার সম্মুখে কি আমার কোন মর্যাদাবোধ থাকতে পারে?
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ ইবনু কায়স আল-আশ‘আরী (রহ.)
হাদিস নং (৩২৪৩):
আবদুল্লাহ ইবনু কায়স আল-আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘গুণসম্পন্ন মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতা ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোণে মু’মিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনো দেখেনি।’ আবূ ‘আবদুস সামাদ ও হারিস ইবনু ‘উবায়দ আবূ ‘ইমরান (রহ.) হতে ষাট মাইল বলে বর্ণনা করেছেন।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪৪):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার, ‘‘কেউ জানে না, তাদের জন্য তাদের চোখ শীতলকারী কী জিনিস লুকানো আছে’’- (আসসিজদাঃ ১৩)
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪৫):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে দল প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল হবে। তারা সেখানে থুথু ফেলবে না, নাক ঝাড়বে না, মলমূত্র ত্যাগ করবে না। সেখানে তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের; তাদের চিরুণী হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধি কাষ্ঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের মত সুগন্ধময় হবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে যাদের সৌন্দর্যের কারণে মাংস ভেদ করে পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না; পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সকলের অন্তর এক অন্তরের মত হবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করতে থাকবে।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪৬):
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারার ন্যায় আকৃতি ধারণ করবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মত থাকবে। তাদের মধ্যে কোন রকম মতভেদ থাকবে না আর পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের দু’জন করে স্ত্রী থাকবে। সৌন্দর্যের কারণে গোশ্ত ভেদ করে পায়ের নলার মজ্জা দেখা যাবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে। তারা রোগাক্রান্ত হবে না, নাক ঝাড়বে না, থুথু ফেলবে না। তাদের পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের আর চিরুনীসমূহ হবে স্বর্ণের। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধি কাষ্ঠ।’ আবুল ইয়ামান (রহ.) বলেন, অর্থাৎ কাষ্ঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের মত সুগন্ধময় হবে। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْإِبْكَارُ অর্থ উষাকালের প্রথম অংশ الْعَشِيُّ অর্থ সূর্য ঢলে পড়ার সময় হতে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়কাল।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪৭):
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক অথবা সাত লক্ষ লোক একই সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের কেউ আগে কেউ পরে এভাবে নয় আর তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল থাকবে।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪৮):
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি রেশমী জুববা হাদিয়া দেয়া হল। অথচ তিনি রেশমী বস্ত্র পরতে নিষেধ করতেন; লোকেরা তা খুব পছন্দ করল। তখন তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, অবশ্যই জান্নাতে সা‘দ ইবনু মুআ‘যের রুমাল এর থেকে বেশি সুন্দর হবে।
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: বারা'আ ইবনু আযিব (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৪৯):
বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একখানা রেশমী বস্ত্র আনা হল। লোকজন এর সৌন্দর্য এবং কমনীয়তার জন্য সেটা খুব পছন্দ করতে লাগল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘অবশ্যই জান্নাতে সা‘দ ইবনু মু‘আযের রুমাল এর থেকেও বেশি উত্তম হবে।’
|
অধ্যায়: সৃষ্টির সূচনা |
উপ-অধ্যায়: জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট। |
বর্ণনাকারী: সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
হাদিস নং (৩২৫০):
সাহল ইবনু সা‘দ আস্সা‘য়িদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতে চাবুক পরিমাণ সামান্য জায়গাও দুনিয়া এবং এর মধ্যে যা আছে তার থেকে উত্তম।’
|