অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নারীদের জ্ঞান লাভের জন্য আলাদাভাবে দিন নির্ধারণ করা যায় কি? |
বর্ণনাকারী: আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রযি.)
হাদিস নং (১০১):
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নারীরা একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলল, পুরুষেরা আপনার নিকট আমাদের চেয়ে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তাই আপনি নিজে আমাদের জন্য একটি দিন নির্ধারিত করে দিন। তিনি তাদের বিশেষ একটি দিনের অঙ্গীকার করলেন; সে দিন তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং তাদের নাসীহাত করলেন ও নির্দেশ দিলেন। তিনি তাদের যা যা বলেছিলেন, তার মধ্যে একথাও ছিল যে, তোমাদের মধ্যে যে স্ত্রীলোক তিনটি সন্তান পূর্বেই পাঠাবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। তখন জনৈক স্ত্রীলোক বলল, আর দু’টি পাঠালে? তিনি বললেনঃ দু’টি পাঠালেও।
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নারীদের জ্ঞান লাভের জন্য আলাদাভাবে দিন নির্ধারণ করা যায় কি? |
বর্ণনাকারী: আবূ সা‘ঈদ (রাযি.)
হাদিস নং (১০২):
আবূ সা‘ঈদ (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবদুর রহমান আল-আসবাহানী (রহ.).... আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এমন তিনজন, যারা সাবালকত্বে পৌঁছেনি।
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: কোন কথা শুনে না বুঝলে জানার জন্য পুনরাবৃত্তি করা। |
বর্ণনাকারী: ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রাযি.)
হাদিস নং (১০৩):
ইবনু আবূ মুলাইকাহ (রাযি.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাযি.) কোন কথা শুনে না বুঝলে বার বার প্রশ্ন করতেন। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘(কিয়ামতের দিন) যার কাছ থেকে হিসেব নেয়া হবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।’’ ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্ তা‘আলা কি ইরশাদ করেননি, فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا তার হিসাব-নিকাশ সহজেই নেয়া হবে)- (সূরাহ্ ইনশিক্বাক ৮৪/৮)। তখন তিনি বললেনঃ তা কেবল হিসেব প্রকাশ করা। কিন্তু যার হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে নেয়া হবে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট ইলম পৌঁছে দেয়। |
বর্ণনাকারী: আবূ শুরায়হ্ (রাযি.)
হাদিস নং (১০৪):
আবূ শুরায়হ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ’আমর ইবনু সা’ঈদ (মদিনার গভর্নর)-কে বললেন, যখন তিনি মক্কায় সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিলেন- ’হে আমাদের নেতা! আমাকে অনুমতি দিলে আপনাকে এমন একটি হাদীস শুনাতে পারি যেটা মক্কা বিজয়ের পরের দিন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন। আমার দু’ কান তা শ্রবণ করেছে, আমার হৃদয় তা আয়ত্ত রেখেছে, আর আমার চোখ দু’টো তা দেখেছে। তিনি আল্লাহর হাম্দ ও সানা বর্ণনা করে বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ্ হারাম করেছেন, কোন মানুষ তাকে হারাম করেনি। তাই যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তার জন্য সেখানে রক্তপাত করা, সেখানকার গাছ কাটা বৈধ নয়। কেউ যদি আল্লাহর রাসূলের (সেখানকার) লড়াইকে দলীল হিসেবে পেশ করে তবে তোমরা বলে দাও, আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রাসূলকে এর অনুমতি দিয়েছিলেন; কিন্তু তোমাদেরকে তা দেননি। আমাকেও সে দিনের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। অতঃপর পূর্বের মতই আজ আবার একে তার নিষিদ্ধ হবার মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতদের নিকট (এ বাণী) পৌঁছে দেয়।’ অতঃপর আবূ শুরায়হ্ (রাযি.)-কে প্রশ্ন করা হল, ’আপনার এ হাদীস শুনে ’আমর কী বললেন?’ [আবূ শুরায়হ্ (রাযি.) উত্তর দিলেন] তিনি বললেনঃ ’হে আবূ শুরায়হ্! (এ বিষয়ে) আমি তোমার চেয়ে অধিক জানি। মক্কা কোন বিদ্রোহীকে, কোন খুনের পলাতক আসামীকে এবং কোন চোরকে আশ্রয় দেয় না।’
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট ইলম পৌঁছে দেয়। |
বর্ণনাকারী: আবূ বকরাহ (রাযি.)
হাদিস নং (১০৫):
আবূ বকরাহ (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের জান তোমাদের মাল বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ (রহ.) বলেন, ‘আমার মনে হয়, তিনি বলেছিলেনঃ এবং তোমাদের মান-সম্মান (অন্য মুসলিমের জন্য) এ শহরে এ দিনের মতই মর্যাদা সম্পন্ন। শোন, (আমার এ বাণী যেন) তোমাদের মধ্যে উপস্থিত ব্যক্তি অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দেয়। বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ (রহ.) বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেন, তা-ই হয়েছে। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ দু’বার করে বললেন, হে লোক সকল! ‘আমি কি পৌঁছে দিয়েছি?’
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করার পাপ |
বর্ণনাকারী: আলী (রাযি.)
হাদিস নং (১০৬):
আলী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার উপর মিথ্যারোপ করো না। কারণ আমার উপর যে মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করার পাপ |
বর্ণনাকারী: আবদুল্লাহ্ ইবনু’য্-যুবায়র (রাযি.)
হাদিস নং (১০৭):
আবদুল্লাহ্ ইবনু’য্-যুবায়র (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতা যুবায়রকে বললামঃ আমি তো আপনাকে অমুক অমুকের মত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস বর্ণনা করতে শুনি না। তিনি বললেনঃ ‘জেনে রাখ, আমি তাঁর থেকে দূরে থাকিনি, কিন্তু আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, যে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নিবে (এজন্য হাদীস বর্ণনা করি না)।’
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করার পাপ |
বর্ণনাকারী: আনাস (রাযি.)
হাদিস নং (১০৮):
আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এ কথাটি তোমাদের নিকট বহু হাদীস বর্ণনা করতে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করার পাপ |
বর্ণনাকারী: সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাযি.)
হাদিস নং (১০৯):
সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর এমন কথা আরোপ করে যা আমি বলিনি, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।’
|
অধ্যায়: আল-ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) |
উপ-অধ্যায়: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করার পাপ |
বর্ণনাকারী: আবূ হুরাইরাহ (রাযি.)
হাদিস নং (১১০):
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’আমার নামে তোমরা নাম রেখ; কিন্তু আমার উপনামে (কুনিয়াতে) তোমরা নাম রেখ না। আর যে আমাকে স্বপ্নে দেখে সে ঠিক আমাকেই দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতির ন্যায় আকৃতি ধারণ করতে পারে না। যে ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার আসন বানিয়ে নেয়।’
|