Online: 1
180
Visitor: 38
46 Likes
Last updates
Example 1
Change deprecated html tags to text decoration classes (#29604)
Example 2
justify-content:between ⇒ justify-content:space-between (#29734)
Example 3
Update change-version.js (#29736)
Example 4
Regenerate package-lock.json (#29730)
الله
Allah
The Almighty
Set status
Profile & account
Feedback
Settings
Logout
নীড়
আরবি শিখি
কুরআন
হাদিস
বুখারী
মুসলিম
তিরমিজি
আবু দাউদ
Cards
New
Sample cards
Card actions
New
Cards Masonry
আদেশ-নিষেধ
আল্লাহর নাম
সার্চ
হাদিস নং
হাদিস কী ওয়ার্ড
সকল হাদিস
কুরআন
ফরম
কুরআন
হাদিস
দোয়া
আদেশ নিষেধ
সহজপাঠ
হাদিস
New view
মতামত/পরামর্শ
হাদিস আপডেট ফরম
--নির্বাচন করুন--
বুখারী
মুসলিম
আবূ দাউদ
তিরমিজি
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, সে সময় আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) কুরাইশদের কিছু লোকের সঙ্গে বাণিজ্য উপলক্ষে সিরিয়ায় ছিলেন। এ সময়টি ছিল আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও কাফির কুরাইশদের মধ্যে সন্ধির যুগ। আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, কায়সারের সেই দূতের সঙ্গে সিরিয়ার কোন স্থানে আমাদের দেখা হলে সে আমাকে আমার সঙ্গী-সাথীসহ বায়তুল মুকাদ্দাসে নিয়ে গেল। অতঃপর আমাদের কায়সারের নিকটে হাজির করা হলো। তখন কায়সার মুকুট পরিহিত অবস্থায় রাজ সিংহাসনে উপবিষ্ট ছিলেন। রোমের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাঁর পার্শ্বে ছিলেন। অতঃপর তিনি তাঁর দোভাষীকে বললেন, তাদের জিজ্ঞেস কর, যিনি নিজেকে নবী বলে দাবী করেন, এদের মধ্যে তাঁর নিকটাত্মীয় কে? আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বললেন, আমি বললাম, বংশের দিক দিয়ে আমি তাঁর সর্বাধিক নিকটতম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ও তাঁর মধ্যে কি ধরনের আত্মীয়তা রয়েছে? আমি বললাম, তিনি আমার চাচাতো ভাই। সে সময় উক্ত কাফেলায় আমি ব্যতীত ’আব্দ মানাফ গোত্রের আর কেউ ছিল না। কায়সার বললেন, তাকে আমার নিকট নিয়ে এস। অতঃপর বাদশাহর নির্দেশে আমার সকল সঙ্গীকে আমার পেছনে কাঁধের নিকট সমবেত করা হল। অতঃপর কায়সার তর্জমাকারীকে বললেন, লোকটির সাথীদের জানিয়ে দাও, আমি তার নিকট সেই ব্যক্তিটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে চাই, যিনি নবী বলে দাবী করেন। যদি সে মিথ্যা বলে, তবে তোমরা তার প্রতিবাদ করবে। আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমি যদি এ ব্যাপারে লজ্জাবোধ না করতাম যে, আমার সাথীরা আমাকে মিথ্যাচারী বলে প্রচার করবে, তাহলে তাঁর প্রশ্নের জবাবে নবী সম্পর্কে কিছু (মিথ্যা) কথা বলতাম। কিন্তু আমি লজ্জাবোধ করলাম যে, আমার সঙ্গীরা আমি মিথ্যা বলেছি বলে প্রচার করবে। ফলে আমি সত্যই বললাম। অতঃপর তিনি তাঁর দোভাষীকে বললেন, জিজ্ঞেস করো, তোমাদের মধ্যে নবীর বংশ মর্যাদা কিরূপ? আমি বললাম, আমাদের মধ্যে তিনি উচ্চ বংশীয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর বংশের অন্য কোন ব্যক্তি কি ইতোপূর্বে এরূপ দাবী করেছে? জবাব দিলাম, না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর এ নবুওয়াতের আগে কোন সময় কি তাঁকে মিথ্যার অভিযোগে তোমরা অভিযুক্ত করেছ? আমি বললাম, না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর পূর্ব পুরুষদের কেউ কি বাদশাহ ছিল? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, সবলেরা তাঁর অনুসারী হচ্ছে, না দুর্বল (শ্রেণীর) লোকেরা? আমি বললাম, বরং দুর্বলরাই। তিনি বললেন, এদের সংখ্যা কি বৃদ্ধি পাচ্ছে না কমছে? আমি বললাম, বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বললেন, তাঁর দ্বীনে প্রবেশ করার পর কেউ কি সে দ্বীনের প্রতি অপছন্দ করে তা পরিত্যাগ করেছে? আমি বললাম, না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কি কখনো চুক্তি ভঙ্গ করেছেন? আমি বললাম, না। তবে আমরা বর্তমানে তাঁর সঙ্গে একটি চুক্তির মেয়াদে আছি এবং আশঙ্কা করছি যে, তিনি তা ভঙ্গ করতে পারেন। আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বলেন, আমার বক্তব্যে এই কথা ব্যতীত এমন কোন কথা লুকানো সম্ভব হয়নি যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খাট করা হয় আর আমার প্রতি অপপ্রচারের আশঙ্কা না হয়। কায়সার জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি তাঁর বিরুদ্ধে এবং তিনি কি তোমাদের বিরুদ্ধে কখনো যুদ্ধ করেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাঁর ও তোমাদের মধ্যে যুদ্ধে ফলাফল কী? আমি বললাম, যুদ্ধ কূয়ার বালতির মত। কখনো তিনি আমাদের উপর বিজয়ী হন, কখনো আমরা তাঁর উপর বিজয়ী হই। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কী বিষয়ে আদেশ করেন? আমি বললাম, তিনি আমাদের আদেশ করেন, একমাত্র আল্লাহর ’ইবাদাত করতে এবং তাঁর সঙ্গে কিছুই শরীক না করতে। আমাদের পিতৃ পুরুষেরা যে সবের ’ইবাদাত করত, তিনি সে সবের ’ইবাদাত করতে আমাদের নিষেধ করেন। আর তিনি আমাদের আদেশ করেন সালাত আদায় করতে; সাদাকা দিতে, পূত পবিত্র থাকতে, চুক্তি পালন করতে এবং আমানত আদায় করতে। আমি তাকে এসব জানালে তিনি দোভাষীকে আদেশ দিলেন, তাকে বলো, আমি তোমাদের মধ্যে তাঁর বংশ মর্যাদা সম্পর্কে জানতে চাইলে তুমি বলেছ যে, তিনি উচ্চ বংশীয়। সেরূপই রাসূলগণ তাঁদের কাওমের উচ্চ বংশেই প্রেরিত হন। আমি তোমাদের নিকট জানতে চেয়েছিলাম যে, তোমাদের কেউ কি এর আগে এ ধরনের দাবী করেছে? তুমি বললে, না। তোমাদের মধ্যে ইতোপূর্বে যদি কোন ব্যক্তি এরূপ কথা বলতে থাকতো, তাহলে আমি বলতাম, ব্যক্তিটি পূর্ব কথিত একটি কথারই অনুসরণ করছে। আমি জানতে চেয়েছি, তাঁর এ (নবুওয়্যাত) দাবীর পূর্বে কি তোমরা তাঁকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলে? তুমি বলেছ, না। এতে আমি বুঝতে পেরেছি যে, যে ব্যক্তি মানুষের ব্যাপারে মিথ্যা বলেননি, তিনি আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা বলবেন, এমন হতে পারে না। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি, তাঁর পূর্বপুরুষদের কেউ কি বাদশাহ ছিলেন? তুমি বলেছ, না। আমি বলছি, যদি তাঁর পিতৃ পুরুষদের কেউ বাদশাহ থাকতো, তাহলে আমি বলতাম, সে পিতৃ পুরুষদের রাজত্ব উদ্ধার করতে ইচ্ছুক। আমি তোমার নিকট জানতে চেয়েছি যে, প্রভাবশালী লোকেরাই তাঁর অনুসরণ করছে, না দুর্বল (শ্রেণীর) লোকেরা? তুমি বলেছ, দুর্বলরাই। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের (দুর্বল) লোকেরাই রাসূলগণের অনুসারী হয়ে থাকে। আমি তোমার নিকট জানতে চেয়েছি, তাদের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে? তুমি বলেছ, বাড়ছে। ঈমান এভাবেই (বাড়তে বাড়তে) পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি, তাঁর দ্বীন গ্রহণ করার পর কেউ কি অসন্তুষ্ট হয়ে তা পরিত্যাগ করেছে? তুমি বলেছ, না। ঈমান এরূপই হয়ে থাকে, যখন তা হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে, তখন কেউ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয় না। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি যে, তিনি কি চুক্তিভঙ্গ করেন? তুমি বলেছ, না। ঠিকই, রাসূলগণ কখনো চুক্তিভঙ্গ করেন না। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি, তোমরা কি কখনো তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করেছ এবং তিনি কি কখনো তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন? তুমি বলেছ, করেছেন। তোমাদের ও তাঁর মধ্যকার লড়াই কূপের বালতির মতো। কখনো তোমরা তাঁর উপর জয়ী হয়েছ, আবার কখনো তিনি তোমাদের উপর জয়ী হয়েছেন। এভাবেই রাসূলগণ পরীক্ষিত হন এবং পরিণাম তাঁদেরই অনুকূল হয়। আমি আরো জিজ্ঞেস করেছি, তিনি তোমাদের কী কী বিষয়ে আদেশ করে থাকেন? তুমি বলেছ, তিনি তোমাদের আদেশ করেন যেন তোমরা আল্লাহর ’ইবাদাত কর এবং তাঁর সঙ্গে কিছুই শরীক না কর। আর তিনি তোমাদের পিতৃপুরুষেরা যে সবের ’ইবাদাত করত তা থেকে নিষেধ করেন আর তোমাদের নির্দেশ দেন, সালাত আদায় করতে, সাদাকা দিতে, পূত পবিত্র থাকতে, চুক্তি পালন করতে, আমানত আদায় করতে। এসব নবীগণের গুণাবলী। আমি জানতাম, তাঁর আগমন ঘটবে। কিন্তু তিনি তোমাদের মধ্যে আসবেন, সে ধারণা আমার ছিল না। তুমি যা যা বললে, তা যদি সত্য হয়, তবে অচিরেই তিনি আমার এই পায়ের নীচের জায়গার মালিক হয়ে যাবেন। আমি যদি আশা করতে পারতাম যে, তাঁর নিকট পৌঁছতে পারবো, তবে কষ্ট করে তাঁর সাক্ষাতের চেষ্টা করতাম। যদি আমি তাঁর নিকট থাকতাম, তবে তাঁর দু’টি পা ধুয়ে দিতাম। আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বলেন, তার পর তিনি তাঁর পত্রখানি চেয়ে নিলেন। তা পাঠ করে শুনানো হলো। তাতে ছিলঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল মুহাম্মদের পক্ষ থেকে রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতি.....যারা হিদায়াতের অনুসরণ করে তাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি আপনাকে ইসলামের দা’ওয়াত দিচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ করুন, শান্তিতে থাকবেন। আপনি ইসলাম গ্রহণ করলে আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ প্রতিফল দান করবেন। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে রোমের সমস্ত প্রজার পাপ আপনার উপর বর্তাবে। ’’হে কিতাবীগণ! এসো এমন একটি কথার দিকে যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই, যেন আমরা আল্লাহ ব্যতীত কারো ’ইবাদাত না করি, কোন কিছুকে তাঁর শরীক না করি এবং আমাদের কেউ যেন আল্লাহ ব্যতীত কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ না করে। আর যদি তারা মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তবে বলঃ তোমরা সাক্ষী থাক, আমরা মুসলিম।’’ (সূরা আলে-ইমরানঃ ৬৪) আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বলেন, তার কথা শেষ হলে তার পার্শ্বের রোমের পদস্থ ব্যক্তিরা চিৎকার করতে লাগল এবং হৈ চৈ করতে লাগল। তারা কী বলছিল তা আমি বুঝতে পারিনি এবং নির্দেশত্রুমে আমাদের বের করে দেয়া হলো। আমি সঙ্গীদের নিয়ে বেরিয়ে এসে তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে, তাদের বললাম, নিশ্চয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপার তো বিরাট আকার ধারণ করেছে। এই যে রোমের বাদশাহ তাঁকে ভয় করছে। আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! অতঃপর থেকে আমি অপমানবোধ করতে লাগলাম এবং এ ব্যাপারে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিল যে, মুহাম্মদের দা’ওয়াত অচিরেই বিজয় লাভ করবে, এমনকি শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলা আমার অন্তরে ইসলাম প্রবেশ করিয়ে দিলেন যদিও আমি অপছন্দ করছিলাম।
الَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو سُفْيَانَ، أَنَّهُ كَانَ بِالشَّأْمِ فِي رِجَالٍ مِنْ قُرَيْشٍ، قَدِمُوا تِجَارًا فِي الْمُدَّةِ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ كُفَّارِ قُرَيْشٍ، قَالَ أَبُو سُفْيَانَ فَوَجَدَنَا رَسُولُ قَيْصَرَ بِبَعْضِ الشَّأْمِ فَانْطَلَقَ بِي وَبِأَصْحَابِي حَتَّى قَدِمْنَا إِيلِيَاءَ، فَأُدْخِلْنَا عَلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ فِي مَجْلِسِ مُلْكِهِ وَعَلَيْهِ التَّاجُ، وَإِذَا حَوْلَهُ عُظَمَاءُ الرُّومِ فَقَالَ لِتُرْجُمَانِهِ سَلْهُمْ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ نَسَبًا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ فَقُلْتُ أَنَا أَقْرَبُهُمْ نَسَبًا. قَالَ مَا قَرَابَةُ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ فَقُلْتُ هُوَ ابْنُ عَمِّي، وَلَيْسَ فِي الرَّكْبِ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ غَيْرِي. فَقَالَ قَيْصَرُ أَدْنُوهُ. وَأَمَرَ بِأَصْحَابِي فَجُعِلُوا خَلْفَ ظَهْرِي عِنْدَ كَتِفِي، ثُمَّ قَالَ لِتُرْجُمَانِهِ قُلْ لأَصْحَابِهِ إِنِّي سَائِلٌ هَذَا الرَّجُلَ عَنِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، فَإِنْ كَذَبَ فَكَذِّبُوهُ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ وَاللَّهِ لَوْلاَ الْحَيَاءُ يَوْمَئِذٍ مِنْ أَنْ يَأْثُرَ أَصْحَابِي عَنِّي الْكَذِبَ لَكَذَبْتُهُ حِينَ سَأَلَنِي عَنْهُ، وَلَكِنِّي اسْتَحْيَيْتُ أَنْ يَأْثُرُوا الْكَذِبَ عَنِّي فَصَدَقْتُهُ، ثُمَّ قَالَ لِتُرْجُمَانِهِ قُلْ لَهُ كَيْفَ نَسَبُ هَذَا الرَّجُلِ فِيكُمْ قُلْتُ هُوَ فِينَا ذُو نَسَبٍ. قَالَ فَهَلْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَبْلَهُ قُلْتُ لاَ. فَقَالَ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ عَلَى الْكَذِبِ قَبْلَ أَ
Update